মুখে নির্দেশ দিলেই হয়ে যাবে টাকা ট্রান্সফার, দুর্দান্ত প্রযুক্তি আনতে চলেছে টোন ট্যাগ



Gamebazz  ডেস্ক: মহামারীতে অনলাইন পেমেন্ট এবং আর্থিক লেনদেন কয়েকগুণ বেড়েছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই নিজেদের ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছে বেশ কিছু ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থা। এই সুযোগে তাদের কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট বা ছোঁয়াচহীন লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহারের পরিধি বাড়ানোর কাজ শুরু করে কুমার অভিষেক এবং বিবেক সিং-এর তৈরি স্টার্টআপ টোন ট্যাগ।  বেঙ্গালুরুর নাফফা ইনোভেশনের মালিকানাধীন এই সংস্থাটি পেমেন্ট টেকনোলজি ক্ষেত্রে সময়ের অনেক আগে এগিয়ে রয়েছে। মূলত শব্দ-তরঙ্গ নির্ভর প্রযুক্তির ব্যবহারে আর্থিক লেনদেন করাই টোন ট্যাগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মোবাইল বা পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) মেশিনের মতো নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন নির্ভর যন্ত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে পিওএস মেশিনে কার্ড সোয়াইপ না করেই টাকা মেটানো সম্ভব হয় গ্রাহকদের পক্ষে।


২০১৮ সালের মধ্যে গ্রাহক এবং লেনদেন-দুই বাড়তে বাড়তে ২০২০ সালে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে স্টার্টআপ সংস্থাটি। করোনাভাইরাস অতিমারীর আগেই দৈনিক ২.৫ লক্ষ লেনদেন করতে শুরু করে টোন ট্যাগ। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রথম মুনাফার মুখ দেখে এই সংস্থা। তাদের এই যাত্রাপথে সঙ্গী হয়েছে অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সংস্থা। অ্যামাজন পে'র 'নিয়ার মি' অপশন টোন ট্যাগের প্রযুক্তির ব্যবহারে চলে। নিকটস্থ কোনও ব্যক্তির কাছে ওটিপি, ইউপিআই বা কোনও কোড ছাড়াই শুধুমাত্র অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে দুই ব্যক্তিকেই অ্যাপটি খোলা রাখতে হবে। অনেকটা, ব্লুটুথ প্রযুক্তির ব্যবহারে ফাইল ট্রান্সফারের মতো।আগামী দু'-তিন বছরের মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে টোন ট্যাগ। এখন শুধু টাকা পাঠাতে মুখ খোলার অপেক্ষা।