Gamebazz ডেস্ক: ভারতে 5G পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই পরিষেবার সূচনা করেছেন। ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ইভেন্ট থেকে দেশে 5G পরিষেবা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। Airtel -এর তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই দেশের 8টি শহরে শুরু হয়েছে 5G পরিষেবা। কলকাতা ছাড়াও এ রাজ্যের শিলিগুড়িতে 5G সার্ভিস শুরু করে দিয়েছে গুরুগ্রামের সংস্থাটি। কিন্তু 5G লঞ্চের পরেই সাধারণ মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রতিবেদনে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেখে নিন।
কোন কোন ফোনে 5G সার্ভিস?
5G সার্ভিস ব্যবহারে ফোনে 5G সাপোর্ট থাকতে হবে। পুরনো 4G ফোনে 5G সার্ভিস ব্যবহার করা যাবে না। তবে 4G ফোন থেকে আগের মতোই 4G ইন্টারনেট চালু থাকবে। 5G লঞ্চের পরে পুরনো 4G ফোনগুলি অচল হয়ে যাবে না। তবে 5G পরিষেবা ব্যবহার করতে ফোনে 5G সাপোর্ট বাধ্যতামূলক।
কিনতে হবে নতুন SIM?
এখনও পর্যন্ত কোম্পানিগুলির তরফ থেকে জানানো হয়েছে 5G পরিষেবা ব্যবহার করতে কোন নতুন SIM কেনার প্রয়োজন নেই। পুরনো SIM-এই ব্যবহার করা যাবে 5G। তবে 5G ফোন থাকা আবশ্যিক। যদিও ভবিষ্যতে 5G-র জন্য পৃথক SIM নিয়ে আসতে পারে টেলিকম সংস্থাগুলি।
কোন কোন শহরে পরিষেবা?
Airtel জানিয়েছে আপাতত 8টি শহরে শুরু হয়েছে 5G পরিষেবা। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, মুম্বাই, শিলিগুড়ি এবং বারাণসীতে 5G সার্ভিস শুরু করেছে সুনীল মিত্তালের সংস্থা। এই সব শহরের নির্বাচিত অঞ্চলে এখন 5G পরিষেবা ব্যবহার করা যাচ্ছে। Airtel জানিয়েছে 2024 সালের মার্চের মধ্যে গোটা দেশে কোম্পানির 5G নেটওয়ার্ক বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এদিকে দীপাবলির আগেই কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই ও দিল্লিতে 5G লঞ্চের ঘোষণা করেছে Jio।
রিচার্জে খরচ কত?
এখনও 5G সার্ভিসের জন্য পৃথক প্ল্যান ঘোষণা করেনি টেলিকম কোম্পানিগুলি। ততদিন 4G রিচার্জেই 5G ব্যবহার করা যাবে। তবে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন তুলনামূলক কম দামেই ভারতবাসীর কাছে 5G পরিষেবা পৌঁছে দেবে Reliance Jio।
5G সার্ভিসে একদিকে যেমন ইন্টারনেটের স্পিড বাড়বে অন্যদিকে কমবে ল্যাটেন্সি। একই সঙ্গে ভালো কম ও কানেকটিভিটি পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে 5G লঞ্চের ফলে 4G ইন্টারনেটের স্পিডও বাড়তে পারে। খাতায় কলমে 4G কানেকশনে 100 Mbps ইন্টারনেট স্পিড পাওয়ার কথা। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারে তা কখনই পাওয়া যায় না। তবে 5G এলে 4G নেটওয়ার্কের ভালো স্পিড পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা।
5G পরিষেবায় 4G ইন্টারনেটের থেকে অন্তত 10 গুণ বেশি স্পিড পাওয়া যাবে। এর ফলে আপলোড ও ডাউনলোডের সময় অনেকটা কমে যাবে। একই সঙ্গে আগের থেকে ভালো ভিডিয়ো কলিং করা যাবে। মুহূর্তে ডাউনলোড হয়ে যাবে ফিল্ম অথবা ওয়েব সিরিজ। একই সঙ্গে কল ড্রপের সমস্যার সমাধান হতে পারে।
5G কভারেজের জন্য নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলিকে অনেক বেশি সংখ্যায় টাওয়ার বসাতে হবে। বিম প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে রাস্তার মোড়ে মোড়ে 5G টাওয়ার দেখা যাবে।