লকডাউনে নতুন সঙ্গী হেডফোন! কত ডেসিবেল থাকলে সন্তানের কান থাকবে নিরাপদে


Gamebazz  ডেস্ক: পড়াশোনা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা, সবই এখন অনলাইনে। গত একবছর ধরে এই লকডাউন আর মারণভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে নিউ নর্ম্যাল জীবনে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অতিমারির সময়টা শিশুদের জীবনের সব দিকই উলটপালট করে দিয়েছে। আগে মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকার প্রবণতা ছিল, বর্তমানে অতিমারির কারণে যুক্ত হয়েছে ল্যাপটপ আর হেডফোন। গান শোনা, অনলাইনে পড়াশোনা, ভিডিয়ো দেখার জন্য অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের কান।


এ ব্যাপারে আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ১২.৫ শতাংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী যাঁদের বয়স ৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে, তাঁদের ইতোমধ্যেই অত্যাধিক শব্দের সংস্পর্শে থাকার কারণে দীর্ঘস্থায়ী শ্রবণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। গতমাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বের ১০ হাজার লক্ষ তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কের স্থায়ী শ্রবণসমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। শিশুদের শ্রবণশক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল। শ্রবণশক্তি বিকাশের উপর তীব্র প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা অনুসারে, শব্দের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে নিরাপদে ও একান্তে শোনার জন্য আরও শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। একটি ঘরের মধ্যে একা শিশু হেডফোন নিয়ে গান, ভিডিয়ো দেখে চলেছে। আমরা সাধারণত টানা ৮ ঘন্টার জন্য ৮৫ ডিবির কম ভলিউম মাত্রা পর্যন্ত কানে দিয়ে থাকতে পারি। প্রতি থ্রি-ডেসিবেলে ভলিউম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষিত শ্রবণ সময়ের অর্ধেক কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে শিশুদের অভিভাবকরা কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারেন।