সন্তানকে ইন্টারনেট থেকে সরাতে পারছেন না? এই 9 নিয়মে চিন্তামুক্তি



Gamebazz ডেস্ক: করোনাকালে বাড়ির ছোট সদস্যটিকেও অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে। শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাস নয়, বিনোদনের জন্যও আজকাল স্মার্টফোন মুখ গুঁজে বসে থাকে ছোটরা। কিন্তু, বাচ্চাদের কি ইন্টারনেট ব্যবহার করা ঠিক? যতটা প্রয়োজন অর্থাৎ অনলাইন ক্লাসের বাইরেও তার মনোরঞ্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত? কখনই ঠিক নয়। ইন্টারনেট বাচ্চাদের হাতে থাকলেও, মা-বাবার উচিত কিছু নিয়ম মেনে চলা। তবে, মা-বাবাও অনেক চেষ্টা করে শিশুদের ইন্টারনেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ, বর্তমান জীবনে বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এই কারণেই Avast এর গ্লোবাল সিকিউরিটি এক্সপার্ট লুইস কোরনস নয়টি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলিই একনজরে দেখে নেওয়া যাক।


১. অনলাইনে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য পোস্ট করবেন না। নিজের নাম, বাড়ির ঠিকানা, ইমেইল আইডি ও ফোন নম্বরের মতো ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইন পোস্ট করা থেকে এড়িয়ে চলুন।


২. প্রত্যেক ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি সেটিংস ঘেঁটে দেখুন। সব ওয়েবসাইট ও অ্যাপের সর্বোচ্চ প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করুন। নিজের সব ডিভাইসে এই কাজ করুন।


৩. মনে রাখবেন, অনলাইনে যা পোস্ট করবেন, তা চিরতরে সেভ হয়ে থাকবে। তাই যে কোওন কিছু অনলাইনে পোস্ট করার আহে দ্বিতীয় বার ভাবুন। বিশেষ করে, পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করার আগে ভাবুন।


৪. কখনও মা-বাবা ছাড়া অন্য কাউকে পাসওয়ার্ড বলবেন না। অনলাইনে আপনার কাছে কেউ পাসওয়ার্ড জানতে চাইলে বলবেন না। সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবাকে এই বিষয়ে জানিয়ে দিন।


৫. সব সময় সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর ব্যবহার করুন। তার জন্য টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনি যে কোনও অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার সময় পাসওয়ার্ড দেওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত কোড দিতে পারবেন, যা শুধু আপনিই জানবেন। সব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন।


৬. অনলাইন পরিচয়ের সঙ্গে বাস্তব পরিচয়ে অনেক সময় ফারাক থাকে। তাই, অনলাইনে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগে একাধিকবার ভাবুন। আগে ভালো করে মানুষটিকে চিনুন। তারপর বন্ধুত্ব শুরু করুন। কোনও অচেনা মানুষ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মা-বাবাকে জানান।


৭. অনলাইনে আপনার উপরে কেউ অত্যাচার করলে তা নিয়ে কথা বলুন। যদি মনে হয়, আপনি সাইবারবুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তবে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলুন।


৮. অন্য মানুষের মতামতকে অনলাইনে সম্মান দিন। সকলের নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। একই বিষয়ে আপনি ভিন্ন মত প্রকাশ করনে তা ভালো ভাবে জানান।


৯. আপনি যদি অনলাইনে এমন কিছু দেখেন অথবা শোনেন যা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলছে সঙ্গে সঙ্গে সেই অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট ব্যবহার বন্ধ করুন। এই বিষয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করুন।