ফোনে ব্যাঙ্ক ডিটেলস থেকে আধার-প্যান নম্বর সেভ করেছেন? সাবধান, না হলে হতে পারে বিপদ



Gamebazz ডেস্ক: ভারতীয়দের মধ্যে ফোনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের ATM পিন, আধার নম্বর, PAN নম্বর ও অন্যান্য পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। অনেকেই এই বিষয়টিকে সঠিক গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ইমেলেও এই সব তথ্য সেভ করে রাখেন।


আর সেই সুযোগ নিয়েই সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্টে থাবা বসায়। ফিশিং অ্যাটাকের মাধ্যমে ফোনের দখল নিয়ে এই কাজ করে থাকে হ্যাকাররা। সম্প্রতি, প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এখনও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইন সুরক্ষার কোনও নিয়মই মানছেন না। আর সেই কারণেই অসুরক্ষিত ভাবে পড়ে রয়েছে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের ATM পিন, আধার নম্বর, PAN নম্বর ও অন্যান্য পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য।


এই সমীক্ষায় দেশের 393টি জেলার 24,000 মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মধ্যে 63 শতাংশ পুরুষ ও 27 শতাংশ মহিলা। 29 শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা নিজের ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডের পিন পরিবারের এক অথবা একাধিক সদস্যের কাছে দিয়ে রেখেছেন। আবার, ৪ শতাংশ বাড়ির পরিচারিকাকেও এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও, 65 শতাংশ জানিয়েছেন, এই ধরনের তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করেননি তাঁরা।


এছাড়াও, সমীক্ষা থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে একাধিক উত্তর বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে! এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল, তাঁরা কী ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ও ATM পিন সেভ করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে 21 শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা নিজের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সব তথ্য মনে রাখেন। 39 শতাংশ দাবি করেছেন, কাগজে এই তথ্য লিখে রেখেছেন তাঁরা।


অন্য দিকে আবার 33 শতাংশ বলছেন, তাঁরা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ফোন অথবা অন্য কোনও ডিভাইসে ডিজিটাল ফর্ম্যাটে সেভ করে রেখেছেন। 11 শতাংশ মানুষ ফোনের কন্ট্যাক্ট লিস্টে এই তথ্য সেভ করে রেখেছেন বলেও জানা গিয়েছে, যা হ্যাকারদের কাজ আরও সহজ করে দেবে বলেই মনে করছেন সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।


সার্ভে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। অনলাইন সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাসওয়ার্ড সেভ করার জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা উচিত। আর তা না হলে খুব সহজেই এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যাবে।