পিএম আবাস যোজনায় ঘর পেতে সময় লাগছে? অভিযোগ করলেই হচ্ছে সমাধান, জানুন বিস্তারিত



Gamebazz ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষদের মাথায় সুরক্ষিত ছাদ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প শুরু করে।এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার বাড়ি দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার আওতায় বস্তি বা মাটির বাড়িতে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এই প্রকল্পের আওতায় সরকার গৃহহীনদের ঘর দেয়।পাশাপাশি, যারা লোন নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন তারাও এই স্কিমের আওতায় সরকার কর্তৃক ভর্তুকি পায়। কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে অনেকের নানা অভিযোগ থাকে। কেউ বলেন রেজিস্ট্রেশন করার পরেও বাড়ি পাচ্ছেন না, আবার অনেকে স্বজনপোষনের অভিযোগ তোলেন। এবার সমস্ত অভিযোগ আপনি খুব সহজে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই অভিযোগ জানাবেন -


প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার আওতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি স্তরে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে।বিস্তারিত তথ্য জানতে স্থানীয় আবাসন সহকারী বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।


যেভাবে আপনি পিএম আবাসের জন্য আবেদন করবেন 


১. পিএম আবাস যোজনার অধীনে আবেদন করার জন্য, সরকার একটি মোবাইল ভিত্তিক আবাসন অ্যাপ তৈরি করেছে। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।


২. ডাউনলোড করার পরে, আপনাকে মোবাইল নম্বরের সাহায্যে একটি লগইন আইডি তৈরি করতে হবে।


৩. এর পরে অ্যাপটি আপনার মোবাইল নম্বরে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠাবে। এর সাহায্যে, লগ ইন করার পরে, জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।


৪. PMAY এর অধীনে একটি বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন করার পর, কেন্দ্রীয় সরকার সেই ব্যক্তির আবেদন গ্রহণযোগ্য কিনা তা যাচাই করেন। 


৫. এর পরে আবেদনকারীদের চূড়ান্ত তালিকা PMAYG- এর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।


এই স্কিমের আওতায়, পাকা ঘর নির্মাণের জন্য তহবিল প্রদানের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার যাদের পুরনো বাড়ি আছে তাদের পাকা ঘর তৈরিতে সাহায্য করছে। সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ১ কোটি মানুষকে পাকা ঘর দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।