Gamebazz ডেস্ক: দেশে শুরু হল প্রথম স্মার্টফোন-ভিত্তিক 'ই-ভোটিং' অ্যাপ। করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে তেলেঙ্গানা প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। তেলেঙ্গানা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এই অ্যাপটি সফলভাবে ডেভেলপ হয়ে গিয়েছে এবং এটি পরীক্ষা করার জন্য খাম্মাম জেলায় 'ড্যামি' নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে। এর জন্য, এই মোবাইল অ্যাপে 8 থেকে 18 অক্টোবর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং তারপর 20 অক্টোবর 'ড্যামি' নির্বাচন হবে।
জেলার সকল নাগরিককে ভুয়া ভোটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে।এই উদ্যোগে, তেলেঙ্গানা রাজ্য নির্বাচন কমিশন (TSEC) এবং Technology and Center for Development of Advanced Computing ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ই-ভোটিং অ্যাপের উদ্দেশ্য হল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ নাগরিক, অপরিহার্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, অসুস্থ মানুষ, পোলিং কর্মী এবং আইটি পেশাজীবীরা যাতে ভোট দেওয়ার সুবিধা পায়।
কোভিড মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। করোনার মধ্যে সমাজের একটা অংশ আছে যারা ভোট দিতে বাড়ি থেকে বের হতে পারে না।ওই সমস্ত মানুষদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করার জন্য, এই ই-ভোটিং অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। আইআইটি ভিলাইয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ রজত মুনারের একটা বড় ভূমিকা আছে। রজত মুনার ভারতের নির্বাচন কমিশনের কারিগরি উপদেষ্টাও। আইআইটি বোম্বে এবং আইআইটি দিল্লির অনেক অধ্যাপক ই-ভোটিং অ্যাপ তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন।
ই-ভোটিং অ্যাপটিতে একটি তিন-ফ্যাক্টর যাচাই প্রক্রিয়া থাকবে যা বৈধ ভোটারকে চিহ্নিত করবে যাতে ভুয়া ভোট না হয়। প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথমে আধারের সঙ্গে নাম মিলে যাবে, ভোটার জীবিত কিনা এটি চিহ্নিত করা হবে এবং ভোটারের ছবি ইপিআইসি ডাটাবেসের মাধ্যমে মিলবে। ছবির সঙ্গে মিলে যাওয়ার জন্য 15-20 বছরের একটি ডাটা প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে 15-20 বছর আগেও যদি কেউ ভোটার আইডি তৈরি করে থাকে তাহলেও যেন ছবিতে কোনও পার্থক্য না থাকে।
মোবাইলে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যাতে ভোটের সম্পূর্ণ হিসাব রাখা যায়। এই অ্যাপে ন্যূনতম ডিজাইন রাখা হয়েছে যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়। এই অ্যাপটি ইংরেজি এবং তেলেগু ভাষায় কাজ করবে। কীভাবে ই-ভোটিং অ্যাপ ব্যবহার করবেন, এর জন্য অ্যাপে একটি ভিডিও দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মানুষকে সাহায্য করার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি আজকাল সরকারি কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে মানুষকে ঘরে বসে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি জনগণকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান সহজ করে দিচ্ছে। সরকার এটিকে তার অনেক প্রযুক্তিগত প্রকল্পে জোরালোভাবে ব্যবহার করছে। তেলেঙ্গানার ই-ভোটিং অ্যাপ এমনই একটি উদাহরণ।