পোস্ট অফিসের দুর্দান্ত এই স্কিমে টাকা হবে দ্বিগুণ! বিস্তারিত জানুন



Gamebazz ডেস্ক: পোস্ট অফিসে এমন কিছু স্কিম রয়েছে যা যথেষ্ট লাভজনক। এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে কোনও ব্যক্তি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে প্রতিটি স্কিমের মেয়াদ ও প্রিমিয়াম আলাদা। যে স্কিমের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তা আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্কিম।


একটি ফর্মের আকারে পোস্ট অফিসে এই কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমটি (Kisan Vikas Patra) পাওয়া যাবে। এছাড়া ব্যাঙ্কেও এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে এককালীন মোটা অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।


প্রথমে কৃষকদের জন্যই এই স্কিম আনা হয়েছিল। পরে এটি সবার জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই স্কিমে বিনিয়োগকারীর অর্থ পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকে, পাশাপাশি মেলে দারুণ হারে সুদও। যে কারণে এই স্কিম অত্যন্তই জনপ্রিয়। Kisan Vikas Patra-স্কিমের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


এই স্কিমে বিনিয়োগের আগেই স্কিমের মেয়াদ ও সুদের হার জানা যায়। পাশাপাশি এতে রয়েছে গ্যারান্টেড রিটার্নের সুবিধাও। দেশের যে কোনও পোস্ট অফিস থেকে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া কয়েকটি ব্যাঙ্কও এই স্কিমের সুবিধা দিয়ে থাকে।


এই স্কিমে সুদের হার (KVP Interest Rate)


2020 সালের 1 এপ্রিল থেকে Kisan Vikas Patra-এ সুদের হার রয়েছে 6.9%। এই স্কিমে 124 মাসে অর্থাৎ10 বছর 4 মাসে দ্বিগুণ হবে জমানো টাকা।


কী ভাবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হয়?


বর্তমানে অফলাইনেই এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যায়। এরজন্য আপনাকে ফর্ম A জোগাড় করতে হবে। অনলাইন, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস থেকে এই ফর্মটি পাওয়া যাবে। এরপর সেই ফর্ম ফিল-আপ করে তা ব্যাঙ্ক বা পোস্ট-অফিসে জমা দিতে হবে।


কী কী নথি প্রয়োজন?


এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে বেশ কয়েকটি নথি ফর্মের সঙ্গেই জমা দিতে হবে। ভোটার আই-ডি, প্যান কার্ড, আধারসহ পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে। অর্থ প্রদান করা হয়ে গেলে পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কের তরফে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ম্যাচুরিটির সময় এই নথির প্রয়োজন হয়।


সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়?


এই স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। কোনও ব্যক্তি যতখুশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে 1000 টাকা জমা করতেই হবে।