Wifi সিগন্যাল চুরি হচ্ছে ? যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে খেয়াল রাখবেন



Gamebazz ডেস্ক: অতিমারি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর আগের থেকে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অফিস গিয়ে কাজ করার পরিবর্তে বাড়ি থেকেই চলছে অফিস। এছাড়াও শিশুদের জন্য বিভিন্ন স্কুলের তরফে অনলাইনে পড়াশুনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।বিনোদনের ব্যবস্থাও বাড়ি থেকে চলছে। তবে এই সব কিছুর জন্য প্রয়োজন ভালো ইন্টারনেট কানেকশন। অনেকে বাড়িতে কোনও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে রাউটারে সঙ্গে সংযোগ করে Wifi এর সঙ্গে যুক্ত করছেন। এর ফলে, একটি মাত্র কানেকশন থেকে একাধিক ডিভাইসে ইন্টারনেট পরিষেবা নেওয়া সম্ভব।


Wifi সিগন্যাল চুরি হচ্ছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?

বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েও অনেকেই সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ করেন, মনের মতো স্পিড পাচ্ছেন না। কিন্তু কেন? আপনার Wifi সিগন্যাল কেউ চুরি করছে না তো? প্রশ্ন উঠতেই পারে আপনার Wifi সিগন্যাল চুরি হচ্ছে কিনা কীভাবে বুঝবেন। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি তথ্য দেওয়া হল যা থেকে আপনি বুঝে যাবেন আপনার Wifi-এর সিগন্যল চুরি হচ্ছে। জেনে নিন-


কম ইন্টারনেট স্পিড 

বর্তমানে ইন্টারনেট স্পিড চেক করার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে। ওই ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে নিজের ইন্টারনেট স্পিড চেক করুন। যদি দেখেন আপনার যে ইন্টারনেট স্পিড থাকার কথা তুলনায় তার থেকে অনেক কম পাচ্ছেন তাহলে wifi সিগন্যাল চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেক সময় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের যান্ত্রিক সমস্যার কারণেও স্লো ইন্টারনেট স্পিড হয়।


​অপ্রাসঙ্গিক অ্যাড

যে কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কী ধরনের প্রডাক্ট সার্চ করেন বা কী ধরনের কন্টেন্ট দেখেন তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সংস্থা সেই ব্যক্তির কম্পিউটারে অ্যাড পাঠায়। এক কথায় বলতে গেলে, ইউজার বিহেভিয়ারের উপর নির্ভর করে সেই ইউজার অ্যড দেখেন। কিন্তু যদি কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী লক্ষ্য করেন তাঁর কাছে এমন কিছু অ্যাড দেখানো হচ্ছে যা তিনি পছন্দ করেন না বা কোনওদিন সার্চ করেননি, তাহলে বুঝতে হবে Wifi সিগন্যাল চুরি করে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।


এর পিছনে কারণটি হল- যে ব্যক্তি wifi সিগন্যাল চুরি করছে সে নতুন IP ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। যে ব্যক্তির থেকে Wifi সিগন্যাল চুরি করছে সেই ব্যক্তির IP ব্যবহার করেই ইন্টারনেট চালায়। আর সেকারণে তার ব্রাউজিং হিস্ট্রি অনুযায়ী অ্যাড চলতে শুরু করে। অবশ্য অনেক সময়, ভিন্ন ধরনের অ্যাডও বিভিন্ন সংস্থা পাঠায়।


​প্রচুর বিল বা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইন্টারনেট শেষ হয়ে যাওয়া


ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রেও প্রিপেড এবং পোস্টপেইড হিসেবে পরিষেবা দেওয়া হয়। যাঁরা পোস্টপেইড ব্যবহার করেন তাঁরা যদি লক্ষ্য করেন যে পরিমাণ ইন্টারনেট বিল আসার কথা তার থেকে অনেক বেশি বিল এসেছে তাহলে বুঝতে হবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অপরদিকে যাঁরা প্রিপেড কানেকশন ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দৈনিক ব্রাউজকরা ডেটার পরিমাণ দেখলেই বুঝতে পারবেন কত পরিমাণ খরচ হয়েছে। অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।


​অন্য কোনও ডিভাইসের সংযুক্তি

কোনও একটি রাউটারে কোন কোন ডিভাইস যুক্ত রয়েছে তা বোঝার জন্য রয়েছে একটি করে বিশেষ অপশন। যে কেউ সেই অপশনে গিয়ে বুঝতে পারেন ওই রাউটারের সিগন্যাল ব্যবহার করে কোন কোন ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি কেউ দেখেন এমন কোনও ডিভাইস সংযুক্ত হয়ে রয়েছে যা সম্পূর্ণ অজানা তাহলে বুঝতে হবে Wifi সিগন্যাল চুরি হচ্ছে। এবং প্রয়োজনে wifi পাসওয়ার্ড দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।


​নিজস্ব ডিভাইসে সমস্যা দেখা দিতে পারে-

অন্য কেউ Wifi সিগন্যাল চুরি করে ইন্টারনেট চালালে আপনার ব্যক্তিগত ডিভাইসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হোক বা ডেটা ট্রান্সফারে সমস্যা। এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে Wifi চেক করা প্রয়োজন।


​কীভাবে সমস্যা থেকে মুক্তি ?

Wifi সিগন্যাল চুরি আটকানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দেন পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের। প্রতি তিনদিন অন্তর বা সাতদিন অন্তর Wifi রাউটারের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা দরকার। এছাড়াও রাউটারের মাধ্যমে কোন কোন ডিভাইস সংযুক্ত রয়েছে তা নিয়মিত চেক করা প্রয়োজন।