ক্রেডিট কার্ডের খরচ ইএমআইতে পরিবর্তনের আগে সাবধান! বিরাট সমস্যায় পড়বেন



Gamebazz ডেস্ক: জীবনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। ছুটি কাটাতে গিয়ে খরচ থেকে শুরু করে কোনও পছন্দের জিনিস কিনতে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। আবার অনেকে খরচের পরে নির্দিষ্ট তারিখের আগে ক্রেডিট কার্ডের বিল শোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সব ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেই ইএমআই-র ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সবকিছুই করতে হয় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিচক্ষণতার সঙ্গে। তাহলেই কম সুদে মাসিক কিস্তিতে সেই খরচ ইএমআই-এ পরিবর্তন করা যায়।


উচ্চমূল্যের জিনিস কেনার সুযোগ : অনেকের পকেট ফাঁকা থাকলেও ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে উচ্চমূল্যের জিনিস কিনে থাকেন। পরবর্তী সময়ে সেই খরচ ইএমআই-এ রূপান্তর করেন। ক্রেডিট কার্ড এবং সেখানে থাকা ইএমআই-এর সুযোগ থাকায় অনেক মানুষকেই এখন ক্রেডিট কার্ড আকৃষ্ট করে।


খরচের বোঝা কমিয়ে দেয় : বড় কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরে তা ক্রেতার বর্তমান বোঝা বাড়ায়। আর সময় মতো তা পরিশোধ করতে না পারলে মুশকিল। তবে ইএমআই অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা দেয়। সুদ, তার মেয়াদ এবং ডাউন পেমেন্টের ওপরে নির্ভর করে এক্ষেত্রে ইএমআই গণনা করা হয়। তবে তার আগে বেশ কিছু জিনিস সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।


ইএমআই বাছার আগে পর্যবেক্ষণ জরুরি : ইএমআইগুলিতে নাম মাত্র প্রসেসিং ফি নেওয়া হয়। অনেক ব্যাঙ্ক আবার শূন্য ইএমআই অফার করে থাকে। সেই সুবিধাও কোনও ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক নিতে পারেন।


মেয়াদ নির্বাচন করতে হবে সঠিকভাবে : এক্ষেত্রে ভেবে চিন্তে মেয়াদ নির্বাচন করতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া পরিশোধের জন্য সাধারণভাবে ৩, ৬, ৯ এবং ১২ মাসের মেয়াদ রয়েছে। বকেয়া গ্রাহকরা কোন মেয়াদে পরিশোধ করবেন, তা তাদের স্বাধীনতা।


একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে : একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে সুদের হারের তুলনা করে নেওয়াটা জরুরি। কোন কার্ডে বেশি সুবিধা রয়েছে তাও দেখতে হবে।


ক্রেডিট কার্ডের সীমা হ্রাস: ইএমআই পরিশোধ না করা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের যে সীমা দেওয়া থাকে তা হ্রাস করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ইএমআই-এর সুবিধা নিলেও ক্রয়ে সীমা ব্লক করে দেওয়া হয়।


সময় মতো পরিশোধ করতে হবে : যদি কোনও ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বকেয়া পরিশোধ করতে ইএমআই বেছে নিলে, যে সময় নির্ধারণ করা থাকবে, সেই সময়ের মধ্যেই তা পরিশোধ করতে হবে। যদি তা দিতে দেরি হয়, তাহলে নতুন করে চার্জ যুক্ত হয়ে যাবে। যা বকেয়ার ওপর চাপতে থাকবে।


প্রি পেমেন্ট ফি : যদি কোনও গ্রাহক নির্দিষ্ট সময়ের আগে বকেয়া পরিশোধ করতে চান, তাহলে ব্যাঙ্কগুলি প্রিপেমেন্ট ফিও নিতে পারে।


পরিষেবা কর : প্রসেসিং ফি, সুদ, প্রি পেমেন্ট চার্জের ওপরে পরিষেবা করও চাপতে পারে, যদি তা থেকে থাকে।