Gamebazz ডেস্ক: ২০১৬-র নভেম্বরে সরকার নোট বন্দীর প্রধান কারণ হিসেবে বলেছিল, জালনোট ঠেকানো। তুলে নেওয়া হয়েছিল সেই সময়কার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। সেই সময় অনেকেই আশা করেছিলেন, বাজার থেকে জালনোট বন্ধ হবে। যদিও কিছু দিনের মধ্যে বাজারে চলে আসে ৫০০ ও ২০০০ টাকার জালনোট।রিপোর্ট অনুযায়ী,২০২০-২১ সালে ৫০০ টাকার জালনোট বৃদ্ধি পেয়েছে ১০২%। অন্যদিকে ২০০০ টাকার জালনোট বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪%। অন্যদিকে ১০ টাকার নোট ১৬.৪ শতাংশ, ২০ টাকার নোট ১৬.৫ শতাংশ এবং২০০ টাকার জাল নোট বৃদ্ধি পেয়েছে ১১.৭ শতাংশ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ৫০০ টাকার জালনোট চেনা যাবে
১) নোটটি আলোর সামনে রাখলে এই জায়গায় ৫০০ লেখা দেখা যাবে।
২) নোটটিকে ৪৫ ডিগ্রি কোনও থেকে চোখের সামনে রাখলে এই জায়গায় ৫০০ লেখা দেখা যাবে।
৩) এই জায়গায় দেবনগরীতে ৫০০ লেখা দেখা যেবা।
৪) মহাত্মা গান্ধীর ছবি ঠিক কেন্দ্রে দেখানো হয়েছে।
৫) হিন্দিতে ভারত ও ইংরেজিতে ইন্ডিয়া লেখা দেখা যাবে।
৬) যদি নোটটিকে হাল্কাভাবে বাঁকিয়ে রাখা হয়, তাহলে নিরাপত্তা থ্রেডের সবুজ রং নীল রং-এ পরিবর্তিত হবে।
৭) পুরনো নোটের তুলনায় গভর্নরের স্বাক্ষর, গ্যারান্টি ক্লজ, প্রমিজ ক্লজ এবং আরবিআই লোগো ডানদিকে সরানো হয়েছে।
৮) এখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি এবং ইলেক্ট্রোটাইপ ওয়াটার মার্কেও দেখা যাবে।
৯)ওপরের দিকে বাম দিক এবং নিচের ডান পাশের সংখ্যাগুলি বাম থেকে ডানপাশে বড় হয়।
১০) এখানে লেখা ৫০০-র রং পরিবর্তন হয়। সবুজ থেকে নীল হয়।
১১) ডান দিকে অশোর স্তম্ভ।
১২) ডান পাশের গোল বাক্সে ৫০০ লেখা , ডান-বাম পাশে ৫ টি ব্লিড লাইন ও অশোক স্তম্ভের প্রতীক। রাফেল প্রিন্টে মহাত্মা গান্ধীর ছবি।
১৩) নোট ছাপার বছ লেখা আছে।
১৪) স্লোগান-সহ স্বচ্ছ ভারতের লোগো ছাপানো আছে।
১৫) কেন্দ্রের দিকে একটি ভাষা প্যানেল রয়েছে।
১৬) ভারতের জাতীয় পতাকা-সহ লালকেল্লার একটি ছবি রয়েছে।
১৭) দেবনগরীতে ৫০০ লেখা রয়েছে।