চাঁদের গুহায় থাকতে পারবে মানুষ, বিরাট আবিষ্কার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের



Gamebazz ডেস্ক: সেদিন হয়তো বেশি দেরি নেই, যখন মানুষ চাঁদে বসবাস শুরু করবে। এই নিয়ে চলেছে বিস্তর গবেষণা ও পরীক্ষাও। বর্তমানে চন্দ্রে বেশ কিছু গহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গর্তগুলিতে তাপগতভাবে স্থিতিশীল অবস্থান চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা একদিন আশ্রয় হিসেবে কাজ করতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।


বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের এই গর্তগুলির তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। LUNAR RECONNAISSANCE ORBITAR (LRO) থেকে পাওয়া ডেটা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এই গর্তগুলি খুঁজে পেয়েছেন, যা ২০০৯ সালে প্রথম আবিস্কৃত হয়েছিল। এই গর্তগুলি চন্দ্রের গুহাগুলির একটি উপায় হতে পারে যা বড় গবেষণার ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। শুধু তাই-ই নয়, ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে গর্তগুলিকে।


জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে চন্দ্রের গুয়াগুলি দীর্ঘমেয়াদী অনুসন্ধান এবং চাঁদে বসস্থানের জন্য একটি নাতিশীতোষ্ণ, স্থিতিশীল এবং নিরাপদ তাপীয় পরিবেশ প্রদান করবে। চন্দ্রের গর্তগুলি চন্দ্র পৃষ্ঠের একটি আকর্শনীয় বৈশিষ্ঠ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। গর্তগুলি একটি লাভা টিউবের সিলিং ভেঙে পড়ার কারণে তৈরি হয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। গর্তের তাপীয় পরিবেশ চাঁদের অন্য যে কোনও জায়গার তুলনায় বেশি আরামদায়ক। এখানে সূর্যের তেজ এসে পৌঁছায় না বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।


চাঁদের গর্তগুলির ব্যাপারে গবেষকরা মানুষের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। আধুনিক যুগে বিকশিত হওয়ার আগে প্রাচীন পূর্বপুরুষদের বসবাস ছিল গুহায়। তেমনি, বর্তমান প্রজন্ম চাঁদের গেলে সেক্ষেত্রে গর্তগুলি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে গবেষকরা। এই গুহাগুলি চাঁদে ভ্রমণকারীদের একটি ত্রাণকর্তা হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন গবেষকরা। চাঁদের একটি দিন ১৫টা পৃথিবীর দিনের সমান। এই সময় সূর্যের তাপ সাংঘাতিক। সেক্ষেত্রে চাঁদের গর্তগুলি মনোরম হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তাঁরা।চাঁদের পৃষ্ঠে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে ‘ওয়াটার আইস’ বা বরফ। এই বরফ গলেই পরবর্তীতে জল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।