Gamebazz ডেস্ক: ইমেল (email) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইদানীং ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ। ইমেলের মাধ্যমেও সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) শিকার হচ্ছেন ইউজাররা। তাই ইমেল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। নিজের ইমেল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে হলে কী কী করবেন, একনজরে দেখে নিন।
পাসওয়ার্ড- ইমেলের পাসওয়ার্ড সবসময় হতে হবে strong and unique। অর্থাৎ আপনার ইমেলের পাসওয়ার্ডের মধ্যে রাখতে হবে Capital or Block Letters, নম্বর বা সংখ্যা এবং ক্যারেক্টার বা চিহ্ন। এর ফলে আপনার পাসওয়ার্ড একটু জটিল হবে যা হয়তো সহজেই বুঝতে পারবে না হ্যাকাররা। তাই বলে এমন পাসওয়ার্ড ইমেলে সেট করবেন না যে আপনি নিজেই ভুলে যাবেন।
স্প্যাম ফিল্টার- অনেক সময়েই আমাদের ইমেলে অনেক স্প্যাম মেল আসে। এই ধরনের ইমেল মূল অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকারও বটে। অতএব এইসব স্প্যাম মেল এড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্প্যাম ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। মূলত জনপ্রিয় ইমেল সার্ভিস যেমন মাইক্রোসফট আউটলুক বা জিমেলে এই স্প্যাম ফিল্টারের অপশন পাবেন ইউজাররা। এই স্প্যাম ফিল্টারের সাহায্যে ইমেল বক্সে আসা কোনও মেল নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তা সরাসরি চলে যাবে স্প্যাম ফোল্ডারে।
টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন- হোয়াটসঅ্যাপেও রয়েছে টু স্টেপ অথেনটিফিকেশন। ইমেলের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিফেকশনও অনেকটা একই রকমের। এই অপশনের মাধ্যমে অন্য একটি ভরসাযোগ্য ডিভাইস বা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ইমেল অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করা সম্ভব হবে। ইউজারদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ইমেলে এই ফিচার থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।
আপডেট ইমেল অ্যাপ- যে মাধ্যমে আপনি ইমেল ব্যবহার করেন, সেই ইমেল অ্যাপ সবসময় আপডেট করে রাখুন। তাহলে আপনি ওই ইমেল অ্যাপ সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট হওয়া সিকিউরিটি ফিচার সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেইসব ফিচার অনুসারে ইউজার ইমেল অ্যাপের সিকিউরিটি ফিচার আপডেট করতে পারবেন।
সাধারণত ইমেলের ইনবক্সে যে সমস্ত স্প্যাম মেল আসে তার থেকেই অনেকসময় প্রতারণার শিকার হন ইউজাররা। অনেক সময় ইমেলে আসা কোনও লিঙ্কে ক্লিক হয়ে গেলেও এক নিমেষে ইউজাররা প্রতারণার শিকার হতে পারেন। এইসব থেকে সতর্ক থাকার জন্য নিজের ইমেল অ্যাকাউন্ট উল্লিখিত উপায়ের সাহায্যে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।