Gamebazz ডেস্ক: বর্তমানে অনেক যুবকই সরকারি চাকরির আশা ত্যাগ করেছেন। সরকারি চাকরিতে প্রতিযোগির সংখ্যা অনেক বেশি। আর সেই কারণেই বর্তমানে বহু ব্যক্তি প্রাইভেটে চাকরি করছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকুরি ছাড়া ও নতুন চাকরি নেওয়ার একটি প্রবণতা সবসময়ই দেখা যায়। কোনও কোম্পানির চাকরি ছাড়তে সবসময়ই নোটিশ পিরিয়ড দিতে হয়। নোটিশ পিরিয়ড ঠিক ক'দিনের হয়, সেই নিয়ম এক এক কোম্পানিতে এক এক রকেমর হয়। তবে কোনও ব্যক্তি নোটিশের মেয়াদ না দিয়েও চাকরি ছেড়ে যেতে পারেন। তবে এর জন্য ওই ব্যক্তিকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা মোটেই কর্মচারীর পকেটের জন্য বিশেষ ভালো না। ঠিক এই কারণেই, নোটিশ পিরিয়ডের মেয়াদে চাকরি করা উচিত। নোটিশ পিরিয়ড সংক্রান্ত কী কী নিয়ম রয়েছে? জেনে নেওয়া যাক।
চুক্তিতে সবটাই লেখা থাকে
যখনই কোনও ব্যক্তি কোনও নতুন কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন, সেক্ষেত্রে অনেক ধরনের নথিতেই সই-সাবুদ করা হয়। এর মধ্যে কোম্পানির যাবতীয় শর্তও রয়েছে। এরমধ্যে নোটিশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও দেওয়া যায়। যদি কোনও ব্যক্তি নোটিশ পিরিয়ড দিতে না চান, সেক্ষেত্রে কী কী করতে হবে? দেখে নেওয়া যাক।
কেন কোম্পানিগুলো নোটিশ পিরিয়ডের নিয়ম রাখে?
কোনও ব্যক্তি যদি হঠাৎ করেই চাকরি ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে কোম্পানির কাজে প্রভাব পড়বে। সেই কারণেই কোম্পানিগুলো নোটিশ পিরিয়ডের নিয়ম রাখে। যাতে কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে, নোটিশের সময়কালেই তার বদলি পাওয়া যায়। এরফলে কোম্পানির কাজে কোনও প্রভাব পড়বে না।
নোটিশের মেয়াদ কতদিন হয়?
নোটিশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। প্রতিটি কোম্পানি তাদের চুক্তিতে এই নোটিশের মেয়াদকাল উল্লেখ করে। তবে সাধারণত, অস্থায়ী কর্মচারীদের জন্য নোটিশের সময়কাল 15 দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে, পে-রোলে থাকা কর্মচারীদের নোটিশের মেয়াদকাল হয় 1 থেকে 3 মাস। তাই চাকরিতে জয়েন হওয়ার সময় যদি নোটিশ পিরিয়ড সংক্রান্ত কাগজে সই করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কোম্পানির নীতি অনুসরণ করতেই হবে।
নোটিশ দিতে না চাইলে কী করণীয়?
নোটিশ পিরিয়ড না দিয়েও ছুটির সঙ্গে ব্যালেন্স করা যেতে পারে নোটিশ পিরিয়ড। অনেক কোম্পানি নোটিশ পিরিয়ডও কিনে নেয়। কোনও কর্মচারী ও কোম্পানি নিজেদের মধ্যে কথা বলে টাকার অঙ্ক নিয়ে সেটেলমেন্ট করে নোটিশ পিরিয়ড পুরো সময়ের জন্য নাও দিতে পারেন। এ ব্যাপারে অবশ্যই HR -এর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন।