প্যাকেট স্ক্যান করেই জানা যাবে ওষুধ আসল না নকল, জাল কারবার রুখতে কড়া মোদী সরকার



Gamebazz ডেস্ক: ভুয়ো ওষুধ বিক্রি করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। সাধারণ মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে ওষুধের গুরুত্ব যতটাই ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ভুয়ো ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। নকল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ওষুধের উপরে রাখতে হবে QR কড অথবা বারকোড। যা স্ক্যান করে ওষুধ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। 2023 সালের 1 অগাস্ট থেকে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সব ওষুধ কোম্পানিকে সরকারি নিয়ম মেনে এই কোড প্রিন্ট করতেই হবে। এইভাবে ভুয়ো ওষুধের কারবারে ব্রেক টাকা যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।


QR কোড স্ক্যান করে কী কী তথ্য জানা যাবে?

QR কোড স্ক্যান করে প্রথমেই জানা যাবে ওষুধের নাম। ব্র্যান্ড নেমের সঙ্গেই জেনেরিক জেনে নেওয়া যাবে। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম ও ঠিকানা জানা যাবে এই কোড থেকে। এছাড়াও জানা যাবে ব্যাচ নম্বর। নির্দিষ্ট ওষুধ কবে তৈরি হতে সেই তথ্যও জানানো হবে। কতদিন সেই ওষুধ বৈধ থাকবে সেই তথ্যও জানানো হবে। এছাড়াও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স নম্বর দেখাবে এই QR কোড।


এখনও পর্যন্ত দেশের 300টি বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কেন্দ্রের এই নয়া নিয়ম মেনে QR কোড প্রিন্ট করার কথা বলা হয়েছে। এই ভাবে কোনটা আসল ওষুধ আর কোনটা নকল তা খুব সহজেই সনাক্ত করা যাবে। 2023 সালের 1 অগাস্ট থেকে নতুন এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এখানে ওষুধের সর্বোচ্চ রিটেল দামও দেখে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। Thyronorm, Allegra, Dolo ও Saridon - এর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এই নিয়ম মানবে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে ভুয়ো ওষুধের কারবার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই ধরনের দেশগুলিতে বিক্রি হওয়া সব ওষুধের 10 শতাংশ ভুয়ো। নকল ওষুধ খেয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত ভারতে নকল ওষুধ বিক্রি বন্ধের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ হিসাবে উঠে আসতে পারে।


যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হচ্ছে তা জানার জন্য নতুন নিয়ম লাগু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পদক্ষেপ সফল হলে ভুয়ো ওষুধ খেয়ে বিপদে পড়া থেকে রক্ষা পেতে পারে দেশবাসী।